কেন্দ্রের দেওয়া ডেডলাইন অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছে আবাস যোজনার লিস্ট তৈরির কাজ। যদিও বিভিন্ন কারণে ওই সময়ের মধ্যে ১০০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি,৫ শতাংশ লিস্ট তৈরীর কাজ বাকি থেকে গিয়েছিলো। কেন্দ্রের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী লিস্ট তৈরির ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বাড়ি তৈরির কাজ। কিন্তূ আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কেন্দ্রের বরাদ্দ করা প্রথম কিস্তির টাকা এখনও উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। সেই কারণে এখনও চলছে আবাস যোজনার নাম তোলার কাজ।
এরই মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দিল্লিতে নালিশ করেছে রাজ্যে বিজেপির নেতারা। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছেছে। তবে তাদের মুখে আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের তৎপরতার প্রসংসায় শোনা গেছে,অনেকাংশে দেখা গেছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ৪৯৩ পাতার চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের কাছে আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের হিসাব চাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তার মেঘ জমেছে নবান্নের অধিকারিকদের কপালে। এর আগে ১৫ দফা শর্ত বেঁধে দিয়েছিলো কেন্দ্র সরকার। এই ১৫ টি শর্তের মধ্যে কমপক্ষে যে কোন একটি পূরণ হলেই মিলবে না আবাস যোজনার বাড়ি।
(আরও পড়ুন : মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেশন কার্ড চেক পদ্ধতি : স্ট্যাটাস চেক,নাম চেক করুন সহজেই)
দেখে নিন আবাস যোজনার ১৫ দফা শর্তবলি :
- পরিবারটি যদি অন্য কোন সরকারি যোজনাই ইতিমধ্যেই বাড়ি পেয়ে থাকে।
- পাকা বাড়ি থাকলে মিলবে না আবাস যোজনার বাড়ি।
- পরিবারটির যদি তিন বা চার চাকার ট্রাক্টর অথবা যন্ত্রচালিত গাড়ি থাকে যা চাষের কাজে ব্যবহার করা হয়।
- মাছ ধরার ট্রলার,বাইক,ভ্যান,গাড়ি থাকলে হবে না।
- পরিবারের যেকোন সদস্যের বেতন ১০ হাজার টাকার বেশি হওয়া চলবে না।
- পরিবারের মধ্যে কেউ যদি সরকারি চাকরি করে।
- পরিবারের মধ্যে কেউ যদি আয়কর দেয়।
- বাড়িতে যদি ফ্রিজ থাকে।
- বাড়িতে ল্যান্ডলাইন ফোনের কানেকশন নেওয়া থাকে।
- পরিবারটি যদি বৃত্তি কর দিয়ে থাকে।
- ৫ একরের বেশি সেচযোগ্য জমি থাকলে ও উক্ত জমিতে দুই মরসুমের বেশি চাষ হলে।
- পরিবারটির ৭.৫ একর জমি থাকলে অথবা সেচ কার্যের কোন ব্যবস্থা থাকলে।
- ২.৫ একরের অধিক সেচযুক্ত জমি ও সেচের ব্যবস্থা থাকলে।
- ৫০ হাজার বা তার বেশি ঋণ পাওয়া যাবে এইরকম কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে।
- পরিবারের যদি সরকারি নথিভুক্ত অকৃষি উদ্যোগে যুক্ত থাকে।
তবে অনেকেই এই ১৫ দফা শর্তকে অবাস্তব বলেছেন। বলা হচ্ছে এই শর্ত মতে তালিকা তৈরী হলে তালিকায় থাকা সকলেরই নাম বাদ চলে যাবে।