Duare Biryani : এক ফোনেই মিলবে মায়ের হাতে তৈরি দুয়ারে বিরিয়ানি,জেনে নিন কিভাবে করবেন অর্ডার।

0
duare biriyani malda

বর্তমান যুগে বিরিয়ানি (Biryani) বাঙালির খাদ্য তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে চলে এসেছে। কিন্তূ আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগে বড় শহর ছাড়া (যেমন : কলকাতা) ছোট শহর গুলিতে বিরিয়ানি খাওয়ার এত চল ছিল না। কিন্তূ বর্তমানে বিরিয়ানি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় বড় শহর থেকে শুরু করে মফস্বল,সব জায়গাতেই চালু হয়েছে বিরিয়ানির দোকান যা বিরিয়ানিকে আরও জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করে তুলেছে। কিন্তূ নামী -অনামী বিরিয়ানির দোকানের ভিড়ে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও বিরিয়ানির ব্যবসার দোকান দেওয়ার মত আর্থিক সামর্থ্য থাকে না।

কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেই ইচ্ছাকে সম্বল করে এর আগে লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাত্র ৬০ টাকা প্রতি প্লেট দরে বিরিয়ানি বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলেন হাওড়ার শ্যামপুকর থানার বাসিন্দা বিধান চক্রবর্তী। এবার সেই একই পথে হেঁটে বাড়ি বাড়ি বিরিয়ানি বিক্রির ব্যবসা চালু হল মালদা শহরে। মালদা শহরের ২১ বছরের তরুণ ঐশ বসাক রাজ্য সরকার কতৃক পরিচালিত ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের আদলে চালু করেছে তার বিরিয়ানির ব্যবসা ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’ (Duare Biryani Malda)।

(Chicken Price Hike : লাফিয়ে বেড়ে চলেছে মুরগির মাংস,ডিমের দাম;পকেটে টান আমজনতার)

মাধ্যমিক পাশ করে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া মালদা শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডকপুকুর জগন্নাথ কলোনির বাসিন্দা ঐশ বসাক। তার বাবা রাজু বসাক ফুটপাথে বাড়িতে তৈরি করা আচার বিক্রি করেন। ঐশ পড়াশোনা ছাড়ার পর বাবাকে আচারের ব্যবসাতে সহায়তা করত। তার বাবাই তাকে প্রথম বিরিয়ানি বিক্রির আইডিয়া দেন। কিন্তূ বর্তমান বাজারে দোকান কিনে বিরিয়ানির ব্যবসা চালু করতে গেলে কয়েক লাখ টাকা প্রয়োজন,তার উপর একাধিক বিরিয়ানির দোকান থাকায় রয়েছে প্রতিযোগিতা। সেই চিন্তা থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরিয়ানি বিক্রির চিন্তা মাথায় আসে ঐশের।

সেই ভাবনা থেকেই সাইকেলের পিছনে লাল শালুতে জড়ানো বিরিয়ানির হাঁড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে মালদা শহরে ঘুরে ঘুরে বিরিয়ানি বিক্রি করতে। দোকানে যেখানে এক প্লেট চিকেন বিরিয়ানি কিনতে ১০০ টাকা লাগে সেখানে ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’ কিনতে খরচ হচ্ছে মাত্র ৭০ টাকা সঙ্গে থাকছে আলু ও চিকেনের বড় টুকরো। ঐশ জানায় সকাল উঠে তার মা সুলেখা বসাক বিরিয়ানি তৈরি করে দেন। মায়ের হাতের তৈরি বিরিয়ানির হাঁড়ি সাইকেলে চাপিয়ে বিক্রি করতে বেড়িয়ে পড়ে সে। তার নম্বরে ফোন করে অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট জায়গায় বিরিয়ানির হাঁড়ি নিয়ে পৌঁছে যায় সে। প্রথম দিকে তেমন সাড়া না মিললেও বর্তমানে প্রতিদিনই বিরিয়ানির হাঁড়ি শেষ করেই বাড়ি ফেরে ঐশ। বিরিয়ানি বিক্রির পাশাপাশি ছোট খাটো অনুষ্ঠানের অর্ডারও মিলছে বলে জানিয়েছে ঐশ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *