Information Technology Act In India : ২৩ বছর পরে প্রযুক্তি আইনে পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার ?

0
information technology act change in india

বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতবর্ষেও প্রযুক্তির ব্যবহার দিনের পর দিন বাড়ছে। মানুষের ঘরে ঘরে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। বিগত কিছু বছর যাবৎ ভারতে ইন্টারনেট সস্তা ও দ্রুত হয়েছে। যার ফলে বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। গ্রাম ও শহর উভয় জায়গায় সমান হারে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে মানুষ। এই দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই গ্রামের মানুষরাও। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও এখন অনায়াসে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারছে।

ভারতে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট বেড়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে করোনা ভাইরাস। কারণ বিগত দুই তিন বছরে মানুষ ঘরে বন্দি ছিলো আর করোনা চালু হওয়ার ঠিক আগে ইন্টারনেটের মূল্য সস্তা হয়েছিল। ফলে আসতে আসতে স্মার্টফোনের ব্যবহার দ্বিগুণ হয়ে যায়। শুধু স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে সেটা বলা ভুল হবে, সঙ্গে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারও। নিত্য দিনের কাজ থেকে শুরু করে অফিস,আদালত,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সরকারি প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় এখন প্রযুক্তির ও ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছে মানুষ।

এই বিষয়ে অবশ্যই সরকারের ভূমিকা প্রধান। ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতবর্ষকে ডিজিটাল ভারত বানানোর বিষয়ে দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন। অবশ্য ধীরে ধীরে সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে আরও দ্রুত করতে সরকার 5G পরিষেবা লঞ্চ করে। তবে এখনও অব্দি পুরোপুরি ভাবে চালু হয়নি 5G ইন্টারনেট। এই বিষয়ের দেশের নামী টেলিকম সংস্থা গুলি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আগত কিছু বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জায়গায় 5G ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে বলে দাবি করেছে সরকার।

তবে ইন্টারনেটের জন্য যেমন উন্নতি হচ্ছে তেমন অনেক ক্ষতিও হচ্ছে। এর ক্ষেত্রে সরকার জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশবাসীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রদান করা। বর্তমানে প্রযুক্তির দুনিয়াতে মানুষ নানা ভাবে প্রতারিত ও হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে। এই ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কিছু মানুষ আড়ালে অপরাধ মূলক কাজ করে চলেছে। ফলে সর্বদা একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।

(Vande Bharat Express : এক বছরে ২২টি বন্দে ভারত তৈরি করবে টাটা)

আর এই বিষয়ে ভারত সরকার অনেকটা উদাসীন বলা চলে। কারণ এই বিষয়ে এখনও অব্দি কোনো কড়া আইন তৈরি করেনি সরকার। এই সময় দরকার তথ্যপ্রযুক্তির বিরুদ্ধে একটি কড়া আইন যা সরকার কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে আইন নেই সেটা নয়। তাহলে ফিরে যেতে হবে 2000 সালে। যখন ভারতবর্ষের সবে ইন্টারনেটের আগমন হয়েছে। আর সেই সময় বানানো হয়েছিল একটি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে আইন (Information Technology Act In India)। অবশ্য তখন বর্তমানে সময়ের মতো এত সমস্যা ছিলো না তাই সরকারও এই আইনের প্রতি তখন ওতো ভ্রুক্ষেপ দেয়নি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই আইনে বড়ো ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করছে সরকার। এই বিষয়টিকে বাস্তব রূপ দিতেই কেন্দ্র তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগ দীর্ঘ ২৩ বছর পরে এই আইনে পরিবর্তন আনতে চলেছে।

ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাক্টে কি বলেছে সরকার ?

বেঙ্গালুরুতে এই বিষয়ে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। যেখানে উপস্থিত ছিলো বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও পলিসি স্টেকহোল্ডাররা। এই বৈঠকে স্পাই ক্যামেরা গ্লাস,ওয়্যারেবল টেক গ্যাজেট,রিটেল সেল, কেওয়াইসি আপডেট,কনটেন্ট মনিটাইজেশন,ইউজার জেনারেটেড কনটেন্টের ইত্যাদি বিষয়ে কড়া আইন চালু করার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। তবে এই বিষয়ে এখনও অব্দি কোনো বিল পেশ করবে না বলে জানিয়েছে সরকার। আগে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং বিচার বিবেচনা করা হবে তার পরে এই বিষয়ে আইন প্রয়োগ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *