Artificial Intelligence Threat : এআই ‘বিপজ্জনক’, সতর্ক করলেন জনক জিওফ্রে হিন্টন।
ওপেন এআই (Open AI) নামক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) নামক একটি এআই চ্যাটবট লঞ্চ করে,যা বিশ্বের বুকে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই নিয়ে তখন বিশেষজ্ঞ মহলে শুরু হয়েছিল জোর চর্চা। তার কিছু দিনের মাথায় চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে গুগলও ‘বার্ড’ (BARD AI Google) নামে একটি এআই চ্যাটবট লঞ্চ করে। তবে চ্যাটবটটি গুলি বিশ্বজুড়ে বিপুল সমর্থন পেলেও অনেকেই এটিকে বিপদজনক বলে দাবী করে।
তাই এবার বহু চর্চিত এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করলেন খোদ এআই (AI) এর জনক জিওফ্রে হিন্টন (Geoffrey Hinton)। তিনি এআই প্রযুক্তির গড ফাদার হিসেবেও পরিচিত। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বহু আগে থেকে গবেষণা করে আসছেন হিন্টন। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এআই নিয়ে পিএইচডি করেছেন। এর জন্য পেয়েছেন বহু পুরস্কারও।
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগলের সাথে কাজ করেছেন বহু দিন ধরে। গুগলের অন্যতম বড়ো একটি পদেও ছিলেন। তবে এবার সেই গুগল থেকে পদত্যাগ করলেন হিন্টন। কারণ হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,যাতে এআই নিয়ে স্বাধীন ভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন তার জন্যই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
(Spam Filter Technology : স্প্যাম কল প্রতিরোধে AI প্রযুক্তি ব্যবহার করছে TRAI )
তবে পদত্যাগ করলেও এআই নিয়ে গুগলের কাজের প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে এআই যে ভবিষ্যতে মনুষ্য জাতির ক্ষতি করবে সেটা তার কথার মাধ্যমে বার বার মনে করিয়েছেন হিন্টন। তবে এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের একটা বড়ো অংশ হিন্টনের মতাদর্শকে সমর্থন করেছে। তারাও একই দাবি করেছে এআই সম্পর্কে।
এআই ব্যবহারের যেমন সুবিধা আছে তেমনই অনেক অসুবিধাও দেখা গেছে। এআই ব্যবহার পুরোপুরি ভাবে চালু হলে বহু মানুষ চাকরি হারাবে এই তথ্য আগেই বলা হয়েছে। তার উপরে এটাও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটা সময়ের পরে মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই এআই কে কাজে লাগিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সামনে আছে গোটা বিশ্বজুড়ে। যার ফলে জেরে বিশ্বের একটা বড়ো অংশ এআই কে রীতিমত ব্যান করার দাবি জানিয়েছে। এই বিষয়ে যদি মানুষ সতর্ক না হয় তাহলে হয়তো জিওফ্রে হিন্টনের সাবধানবাণী বাস্তব রুপ নেবে।