Civic Volunteer Teacher : সিভিক শিক্ষক প্রকল্পে নয়া আপডেট দিল বাঁকুড়া পুলিশ।

0
civic volunteer teacher west benga

প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের এবার থেকে পড়ানোর দায়িত্বে থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer Teacher) উপর। হ্যা,এমনই এক প্রকল্প চালু করা হয়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে। সম্প্রতি বাঁকুড়া বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে এক বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে নতুন প্রকল্পের সূচনা করা হয়,প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘অঙ্কুর'(Ankur Scheme)। এই প্রকল্পের অধীনে এবার থেকে বাঁকুড়া জেলার প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের অঙ্ক ও ইংরেজিতে দক্ষতা আরও বাড়াতে তাদেরকে পড়াবে জেলার ভলান্টিয়াররা। এজন্য ইতিমধ্যেই ১৫০ জন ‘শিক্ষিত’ সিভিক ভলান্টিয়ারকে নির্বাচিত করেছে বাঁকুড়া পুলিশ। এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিকের পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য আরও দক্ষ করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে ওই বেসরকারি সংস্থাটি।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে বাংলার শিক্ষামহলে,এই প্রকল্পকে কটাক্ষ করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা,রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় তারা। তুমুল বিতর্ক শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পড়ানোর বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেই রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান এই পরিকল্পনাটির বিষয়ে তার বা শিক্ষা দপ্তরের কোন অনুমোদন নেই,বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান এই প্রকল্প চালু রাখতে হলে বিভাগীয় সচিবকে আগে অনুমোদন চাইতে হবে। তারপর ভেবে দেখা হবে প্রকল্পটি চালু করা হবে কিনা।

(WB Teacher Transfer : শিক্ষক বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করল শিক্ষা দপ্তর)

তুমুল বিতর্কের মুখে পড়ে বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি প্রকল্পে সামান্য রদবদল করেছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের নতুন নিয়মে কোন স্কুলে নয়,সিভিক ভলান্টিয়াররা গ্রামে গ্রামে গিয়ে পড়ুয়াদের অঙ্ক ও ইংরেজি শেখাবেন। এটির সঙ্গে স্কুলের ক্লাসের কোন সম্পর্ক থাকবে না,এটিকে ‘সাপ্লিমেন্টরি ক্লাস’ হিসেবে গণ্য করা হবে। স্কুলের সময়ের আগে অথবা পড়ে অতিরিক্ত পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য অনেক সময় টিউশনির ব্যবস্থা করতে পারেন না,সেই সকল দরিদ্র পড়ুয়াদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ সুপারের আরও দাবি কিছু মানুষ বিকৃত অর্ধসত্য তথ্যপ্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। যদিও স্কুলের বাইরে কোচিং ক্লাসে করানোর ব্যাপারে এখনও কোন বিবৃতি দেয়নি রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *