Bankura University Recruitment : ৩০০ টাকায় ‘সিভিক অধ্যাপক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,কি বললেন শিক্ষামন্ত্রি ?
সিভিক শিক্ষকের পর এবার ‘সিভিক অধ্যাপক’? বেশ কিছুদিন ধরে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যের শিক্ষামহলে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ শে মার্চ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bankura University) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয় বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে চারটি পদে পদার্থবিদ্যায় লেকচারার (Physics Professor) নিয়োগ করা হবে,নিয়োগ হবে কেবলমাত্র ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে।যোগ্যতা হতে হবে পদার্থবিদ্যায় নেট অথবা পিএইচডি সহ এমএসসি পাশ। নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপককে সপ্তাহে চারটি ক্লাস নিতে হবে,পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া হবে ক্লাস পিছু ৩০০ টাকা অর্থাৎ মাসে ৪৮০০ টাকা। ইন্টারভিউ নেওয়া হবে ৪ এপ্রিল থেকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে।
আর এখানেই শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে যেখানে কিছুদিন আগে নিয়োগ হওয়া ঝাড়ুদারের মাসিক বেতন রাখা হয়েছিল ৫০০০ টাকা,সেখানে একজন উচ্চশিক্ষিত ফিজিক্সের অধ্যাপকের মাসিক বেতন কিনা তার থেকেও কম,মাত্র ৪৮০০ টাকা। ইউজিসি (UGC) কতৃক লাগু করা নিয়ম অনুযায়ী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী অধ্যাপকের পারিশ্রমিক ক্লাস পিছু ১৫০০ টাকা,সেখানে মাত্র ৩০০ টাকা পারিশ্রমিকে অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্জপ্তি প্রকাশে কার্যত বিস্মিত বাংলার শিক্ষামহল। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাওয়ার পর কার্যত বাকরুদ্ধ বাংলার শিক্ষামহল। অনেকেই বলেছেন এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাংলার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা। তবে প্রথম দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে নীরব।
(KMC School : মডেল স্কুল,২২৪ টি স্কুলে শেখানো হবে স্পোকেন ইংলিশ)
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দেখা যায় পূর্ব বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সকাল ১১ টার মধ্যে আনুমানিক ১০-১২ জন ইন্টারভিউ প্রার্থীকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তবে মোট কতজন ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করেছিল এবিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। নিয়োগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুলপ্রবেশ পথের সামনে বিক্ষোভ দেখায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সদ্যসরা।
৩০০ টাকার ‘সিভিক অধ্যাপক’ নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সুক্ষভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এর জন্য বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি জানান রাজ্যের দেওয়া অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় গুলি কোন ক্ষাতে কত খরচ করবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের ব্যাপার,বামফ্রন্ট আমলের মত রাজ্য সরকার এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করবে না। প্রয়োজনে তিনি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।