গুগলকে চিঠি দিল সিবিআই,নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নকল মিলল নকল ওয়েবসাইটের খোঁজ।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির জাল কতদূর পৌঁছেছে তা জানতে এবার আমেরিকার সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগলকে চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে দুটি নকল ওয়েবসাইট তৈরির হদিশ পাওয়া গেছে। ওই দুটি নকল ওয়েবসাইটের আইপি আড্রেস,ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যবহৃত ইমেইল,সার্ভার লোকেশন ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য চেয়ে গুগুলকে (Google) চিঠি দিয়েছে সিবিআই। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হুবহু নকল করে তৈরি আপাতত দুটি ওয়েবসাইট তৈরির সন্ধান পেয়েছ সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফ থেকে অনুমান করা হচ্ছে আরও কয়েকটি ভুয়ো ওয়েবসাইট নিয়োগ দুর্নীতিতে ব্যবহার করা হত।
প্রাথমিকভাবে সিবিআই জানতে পেরেছে বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়াতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মত প্রায় একইরকম নাম ব্যবহার করা হলেও ডোমেইন এক্সটেনশন হিসাবে ডট ইনের (.in) বদলে ডট কম (.com) ব্যবহার করা হত। কি কাজে ব্যবহার করা হত এই নকল ওয়েবসাইট গুলো? জানা যাচ্ছে গোটা বিষয়টি ব্যবহার করা হত অবৈধ চাকরি প্রার্থীদের কাছে পুরো ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য। নিয়োগের নামে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রথমে টাকা নেওয়া হত,তারপর বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে তাদের নাম ভুয়ো ওয়েবসাইট গুলোতে আপলোড করা হত। ভুয়ো ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে আরও টাকা নেওয়া হত। পরে ওই প্রার্থীর নাম মুছে ফেলা হত।
(দ্বিতীয় শ্রেণী অবধি থাকবে না কোন পরীক্ষা,নয়া শিক্ষানীতি প্রকাশ করল কেন্দ্র সরকার)
সিবিআই এর অনুমান এই কাজে পর্ষদ অফিসের কর্তারা যুক্ত থাকতে পারে,না হলে কেবলমাত্র বাইরের লোকের পক্ষে হুবুহু ওয়েবসাইট বানিয়ে এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে ধৃত কুন্তল ঘোষ ভুয়ো ওয়েবসাইটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। প্রথমে কুন্তল চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলত। তারপরে ভুয়ো ওয়েবসাইটে নাম তুলে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াত,এমনকি যে সকল চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় ফেল করত তাদের নামের পাশে পাশ লিখে ভুয়ো ওয়েবসাইটে নাম তুলত কুন্তল। নামের পাশে পাশ লেখার প্রিন্ট আউট বের করে চিঠি লিখে অবৈধ চাকরি প্রার্থীদের পাঠান হত। তারপর আরও টাকা তোলা হত। এত বড় দুর্নীতির কাজ কুন্তলের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এই কাজে তার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত ছিল তাদের খোঁজ করছে সিবিআই।