বাড়ছে জালিয়াতি,বাতিল হতে পারে লাইসেন্স;অনলাইন ওষুধ জালিয়াতিতে সতর্ক করলো কেন্দ্র।

online medicine fraud india

বর্তমানে মোবাইলের মাধ্যমেই অনলাইনে প্রায় সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। খাবার,জামাকাপড় থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো জিনিসও মানুষ অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছে। কিছু বছর যাবত ভারতে অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ব্যবসাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ওষুধ কিনতে আর দোকানে যেতে হচ্ছে না বা ওষুধের দোকানে গিয়ে অপেক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে না। মোবাইল অ্যাপে ওষুধ অর্ডার করলে বা প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে পাঠালেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ওষুধ। প্রত্যেক জিনিসের যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও আছে। সমাজে ভালো মানুষ আছে আবার খারাপ মানুষও আছে। ভারত সরকার অনলাইন মেডিসিন জালিয়াতি নিয়ে দেশের মেডিসিন সংস্থা গুলিকে সাবধান করলো। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। যার মধ্যে এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ২০টি অনলাইন ফার্মেসি সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে যদি তারা তাদের জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে না পারে তাহলে বড়সড় শাস্তির মুখে পরবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

তাই যারা অনলাইনে ওষুধ কিনছেন তাদের কে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। অনেক ফার্মেসি আছে যারা বিনা অনুমতিতে লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করছে। আবার অনেকেই আছে যারা নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশিকা কে অমান্য করে এই কাজ করে চলেছে। এর আগে ২০১৮ সালে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় কিন্তু বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু এবার দেশে অনেক জায়গায় এই জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই সরকার এই বিষয়টিকে নিয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছে।

(আরও পড়ুন : সাত দিনে বাতিল ৮০০ চাকরি;নজিরবিহীন দুর্নীতিতে বাকরুদ্ধ বাংলা)

শুধু তাই নয় এই অনলাইন ওষুধ বিক্রির নামে দেশের যুবকদের কাছে ড্রাগ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে খবর উঠে এসেছে। এই বিষয়ে অনেক অভিযোগ জমা পরেছে সরকারের কাছে। আর এই অনলাইন ওষুধ জালিয়াতিতে দেশে নামকরা সংস্থা গুলির দিকে আঙ্গুল তুলেছে অনেকেই।

এই বিষয়ে চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় মতামত প্রকাশ করে বলেছেন – “কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়েছে। সাধারণত স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ছোটখাটো ব্যাপারগুলিতে তো কারও নজর পড়ে না। কেন্দ্র-রাজ্য কারোরই টনক নড়ে না। এখন টনক নড়েছে। এরপর ফল কী হয় এখন সেটাই দেখার।”

সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, যারা অনলাইনে ওষুধ কিনছেন তারা অবশ্যই যেন দেখে নেয় যে যারা বিক্রি করছে তারা সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত কিনা। আর এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসলে যেন অবশ্যই নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ জমা করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *