Biometric Attendance : দিতে হবে মুখের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ,চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক সিস্টেম।
রাজ্য বনাম সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বিতর্কের মাঝেই সরকারি কাজে গতি আনতে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে রাজ্যের সকল সরকারি দপ্তরে চালু হতে চলেছে বায়োমেট্রিক সিস্টেম (Biometric Attendance)। সরকারি দপ্তরগুলিতে বায়োমেট্রিক সিস্টেমে হাজিরা গণনা পদ্ধতি চালু হলে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের ইচ্ছামত আসা যাওয়া করতে পারবেন না। তাদেরকে মুখের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে অফিসে আসা যাওয়া করতে হবে। শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ বৈঠকে সরকারি দপ্তরগুলিতে বায়োমেট্রিক সিস্টেম লাগু করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৫ ই মার্চ দুপুর ১২টা নাগাদ হঠাৎই নবান্নের পাঁচতলায় স্বরাষ্ট্রদপ্তরের কাজ কর্ম ক্ষতিয়ে দেখতে ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ ৪০৩ ও ৪০৪ নম্বর ঘরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে দেখেন ৭৫ শতাংশ কর্মী অনুপস্থিত,যা দেখে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন তিনি গিয়ে পৌঁছান অর্থ দপ্তরে,যদিও সেদিন কর্মীদের উপস্থিতির হার দেখে সন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরের দিন অর্থাৎ শুক্রবারের বৈঠকে সরকারি দপ্তরে বায়োমেট্রিক চালুর সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন ‘সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অনেকে ঠিকমত কাজ করেন না। মানুষকে ঠিকমত পরিষেবা না দিয়ে সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের সাধারণ জনগণের কথা মাথায় রেখে এইসব মেনে নেওয়া হবে না।’
(Duare Sarkar 2023 : ভোটের আগেই দুই দফায় দুয়ারে সরকার ? কবে কোথায় জেনে নিন)
সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে দেরি করে অফিস পৌঁছেনো ও তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেড়িয়ে যাওয়া রুখতে চালু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। এরাজ্যে এতদিন কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রে ও মুষ্টিমেয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু ছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে তা অতিদ্রুত সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে বায়োমেট্রিক চালুর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী জেলাশাসকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। যেখানে তিনি সকল সরকারি অফিসের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী হাজিরা নিয়ে কড়া নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন।