DA Case West Bengal : টানা দু দিন বন্ধ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান;পাল্টা ফরমান জারি নবান্নর।

dearness allowance west bengal news

প্রাপ্য মহার্ঘভাতার দাবিতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি রাজ্য সরকার প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) না বাড়ালে সরকারের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্নভাবে আন্দোলন প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিরই অঙ্গ হিসাবে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার ও মঙ্গলবার) একযোগে কর্মবিরতির ডাক দেয় সরকারি কর্মচারীদের ৩৬ টি সংগঠন। এই দুই দিন তারা ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রাজ্য বনাম সরকারি কর্মচারী সংগঠনের ডিএ মামলা (DA case West Bengal) এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী ১৬ ই মার্চ ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও ঋষিকেশ রায়। কিন্তু তার আগে থেকেই সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আন্দোলন,অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা। তারই অঙ্গ হিসাবে গত ২৭শে জানুয়ারি কলকাতা পৌরসভা পর্যন্ত তারা একটি মিছিলের আয়োজন করেন,এছাড়াও ওই দিন থেকে শহিদ মিনার চত্বরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেন। শহিদ মিনার চত্বরে টানা অবস্থান বিক্ষোভের ফলে অনেক সরকারি কর্মচারী অসুস্থ হয়েও পড়েছেন,তবুও তারা কোন কিছুতে কান দিতে রাজি নন। তাদের এই আন্দোলনে ঘৃতাহুতি দেয় গত ফেব্রুয়ারী রাজ্য বাজেটে পেশ করা মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা। আগে এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ৩ শতাংশ হারে ডিএ পেত,রাজ্য বাজেটে যা আরও ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়,যার সুবিধা আগামী মার্চ মাস থেকে সকল কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী পাবেন বলে সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।

(আরও পড়ুন : Madhyamik Exam 2023 : কড়া নজরদারির জন্য চালু হল অ্যাপ;সমস্যার সমাধানে হেল্পলাইন নম্বর)

সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি থামাতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করল নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী খোলা থাকবে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান,অতি জরুরি কারণ ছাড়া মঞ্জুর হবে না কোন সরকারি কর্মীর ছুটি। কোন কর্মচারী যদি বিনা কারণে ওই দুদিন ছুটি নেন তবে তাকে শোকজ করা হবে,কাটা হবে বেতন।

তবে এই ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে সরকারি কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। জানা গেছে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশের উপরে,আবার অনেক কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হলেও অন্যান্য দিনের মত তৎপরতা দেখাননি,আবার অনেকে আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করতে রাজি নন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *