Shark Tank India Season 2 : অমিত জৈনের পর শার্ক ট্যাঙ্কে যোগ দিলেন নতুন শার্ক ভিকাশ ডি নাহার।
শার্ক ট্যাঙ্ক (Shark Tank) ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি রিয়েলিটি শো (অনুষ্ঠান)। এই শো এর প্রথম সিজন শুরু হয় ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সালে। প্রথম বছরেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই শোটি প্রথম চালু হয় আমেরিকায় ২০০৯ সালে। আমেরিকার আদলে ভারতেও চালু করা হয় এই শোটি। এই শো এর মধ্যে বিচারকের আসনে থাকেন ভারতের নাম করা কোম্পানির মালিকরা। যেমন প্রথম সিজনে ছিলেন,আশনির গ্রোভার ( BharatPe-এর প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা),আমান গুপ্তা (বোট কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ মার্কেটিং অফিসার),অনুপম মিত্তল (Shaadi.com এবং পিপল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও),গজল আলগ (মামাআর্থ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান),নমিতা থাপার (এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক),পীযূষ বনসাল (লেন্সকার্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও) ও বিনীতা সিং (SUGAR কসমেটিকসের সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা)।
শার্ক ট্যাঙ্কের দ্বিতীয় সিজন ২ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে শুরু হয়ে গেছে । এই তবে নতুন সিজনে আশনির গ্রোভারের বদলে নতুন শার্ক হিসেবে দেখতে পাবেন অমিত জৈন কে (CarDekho গ্রুপের সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা)।
দ্বিতীয় সিজনে ফাইনাল এপিসোডে চমক হিসেবে দেখতে পাবেন বিকাশ ডি নাহার কে যিনি হ্যাপিলোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। কি ভাবে ২০ বার বার্থ হয়েও নিজেকে দাড় করিয়েছেন সেই গল্প নিয়ে তিনি যোগ দিতে চলেছেন শার্ক ট্যাঙ্কে। আসুনু জেনেনিই এই নতুন শার্কের সংক্ষিপ্ত জীবনী।
(‘দোগলাপান’ খ্যাত শার্ককে ছাড়াই হাজির Shark Tank India Season 2;নতুন শার্ক হলেন কে?)
ভিকাশ ডি নাহার (Vikas D Nahar) :
নাহার জন্ম গ্রহণ করেন কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর শহরে ১৯৮২ সালে। তিনি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক করেন। এর পরে তিনি MBA তে মার্কেটিং করেন সিমবায়োসিস সেন্টার ফর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট থেকে যা মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত। মে ২০০৫ সালে জৈন গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড সিনিয়ার ইমপোর্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। ভিকাশ ছিলেন কৃষক পরিবারের সন্তান। তার পরিবার মরিচ ও কফি উৎপাদনের ব্যবসা করত। এই থেকেই ভিকাশের মধ্যে যা উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা জেগে ওঠে এবং ২০১৬ সালে হ্যাপিলো (Happilo) নামে একটি শুকনো ফল,বাদাম,এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্র্যান্ড গড়ে তোলেন।
তবে শুরুতে অনেক বাধা আসলেও পরবর্তী এই কোম্পানির ভারতের বাজারে ই-কমার্স এবং খুচরা দোকানের শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে। ২০২৩ সালের একটি রিপোর্ট অনুসারে হ্যাপিলো কোম্পানির বর্তমান রাজস্বের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে এটি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্য ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। ভিকাশ ডি নাহার একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন যেমন ইন্ডিয়ান একাডেমি পুরস্কার,ইন্ডিয়ান অ্যাচিভার্স ফোরামের বর্ষসেরা উদ্যোক্তা, SIAL ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি।
এই শোটি সম্প্রচারিত হয় সনি লিভ এবং সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে সোম থেকে শুক্র রাত ১০ টায়।