Data Theft : ডেটা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে ভারত;জানুন সম্পূর্ণ খবর।
কথায় আছে যে, প্রত্যেক জিনিসের যেমন সুবিধা আছে তেমনি অসুবিধাও আছে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। প্রত্যেকটি জিনিসের মধ্যে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে মানুষ। এর ফলে যেমন মানুষের উপকার হচ্ছে তেমন ক্ষতিও হচ্ছে। সম্প্রতি সারা বিশ্বে সমীক্ষা চালিয়ে একটি ডেটা চুরি সম্বন্ধীয় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কানাডার টেনেবল (Tenable) নামক সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি এই রিপোর্টটির প্রকাশ করেছে।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২২ সালে বিশ্বে প্রায় ২.২৫ বিলিয়ন ডেটা চুরির ও লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ ডেটা ভারত থেকে চুরি গেছে বলে জানিয়েছে তারা। জনসংখ্যার ভিত্তিতে যেহেতু ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ তাই ডেটা চুরির ঘটনা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে বেশি পাওয়া গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য অবশ্য সরকার দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এমন নয় যে শুধু সাধারণ মানুষের ডেটা চুরি হচ্ছে। সরকারি গুরুত্ত্বপূর্ণ ডেটা অব্দি চুরির ও ফাঁস করার ঘটনা ঘটেছে। তাহলে সেখানে কি করে সাধারণ মানুষের ডেটা সুরক্ষিত থাকবে।
(বন্ধ হবে ১০ বছরের আধার কার্ড ? চালু রাখতে তাড়াতাড়ি করে ফেলুন এই কাজটি)
এই বিষয়ে টেনেবলের সিনিয়র স্টাফ রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার সাতনাম নারাং বলেছেন, ‘আমরা 2020 এবং 2021 সালে এই একই সতর্কতা জারি করেছিলাম। তবুও,দুই বছর পরে,এই ধরনের ত্রুটিগুলি দুর্বলতার ল্যান্ডস্কেপের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলির মধ্যে একটি থেকে যায়। আনপ্যাচড দুর্বলতাগুলি আক্রমণকারীদের সংস্থাগুলির মধ্যে প্রাথমিক অ্যাক্সেস বা বিশেষ সুবিধাগুলিকে উন্নত করার জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং সহজ উপায় প্রদান করে।’
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ভারতে ৩৩ শতাংশ ডেটা চুরি র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে হয়েছে এবং বাকি ১৭ শতাংশ চুরির ঘটনার জন্য দায়ী ভারতের দুর্বল ডেটা বেস।
র্যানসমওয়্যার কি ?
এটি হল এক ধরনের ম্যালওয়্যার যেটি কিনা একটি কম্পিউটার ডিভাইসকে আক্রান্ত করার পর ব্যবহারকারীকে তার মেশিনে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে এবং ব্যবহারকারীর প্রবেশগম্যতা সীমাবদ্ধ করে দেয় এবং এই সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।
ডেটা চুরি রিপোর্ট :
স্থান | ডেটা চুরির পরিমাণ (%) |
স্বাস্থ্য কেন্দ্র | ১১% |
খুচরা বিক্রেতা | ১১% |
অর্থনৈতিক সেবা কেন্দ্র | ৬% |
শিক্ষা বিভাগ | ৬% |
পেশাদার এবং প্রযুক্তিগত পরিষেবা কেন্দ্র | ৬% |
পাবলিক প্রশাসন | ৬% |