Train Last Bogie x Symbol : কেন থাকে ট্রেনের শেষ কামরায় এই চিহ্ন ? টুইট করে জানাল রেল।
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেন একটি অন্যতম মাধ্যম। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে ভারত সরকার। যাত্রীর বোঝায়ের সাথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি ক্ষেত্রেও রেল ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো হয়। বর্তমানে ভারতে প্রায় ২৯ ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন আছে এবং প্রতিদিন গড়ে ২ কোটিরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। আর এই বিপুল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ভারতীয় রেল মন্ত্রকের হাতে দেওয়া আছে।
ট্রেনে যাতায়াত করতে গেলে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। তার জন্য রেলের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি হয় বিভিন্ন সময়ে। ভারতে স্টেশন বা ট্রেনে লিখার মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশিকা দেওয়া থাকে। অনেকেই সেই বিষয়ে জানেন আবার অনেকেরই প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায়। এবার এমনই এক নির্দেশিকার বিষয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলো রেল মন্ত্রক।
ট্রেনে যাতায়াত করার সময় অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন ট্রেনের একদম পিছনের কামরার বাইরের দেওয়ালে ‘X’ চিহ্ন বা অক্ষর দেওয়া থাকে (Train Back Side X Symbol)। আপনি যদি দেখে না থাকেন তাহলে ইন্টারনেট থেকে অথবা ট্রেনে যাতায়াতের সময় দেখে নেবেন। তবে বলে রাখি এই চিন্হ মূলত এক্সপ্রেস ট্রেন বা ইঞ্জিন যুক্ত ট্রেনের শেষে স্পষ্ট ভাবে দেওয়া থাকে। আর লোকাল ট্রেনে ছোট আকারে থাকে। অনেকেরই মনে কৌতূহল জাগে এই চিহ্নকে আবার অনেকেই এটিকে গুরুত্ব দিতে চাইনা। তবে বলে রাখি এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। আর এই চিহ্নের মানে রেল মন্ত্রক নিজেই জানিয়েছে।
(Bluesky Social App : টুইটারকে টেক্কা দিতে ব্লুস্কাই লঞ্চ করলেন প্রাক্তন সিইও)
ট্রেনের শেষ কামরাই ‘X’ চিহ্ন থাকার মানে কি ?
গত ৫ মার্চ এই প্রশ্নের উত্তর রেল মন্ত্রক তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে। এর উত্তর হিসেবে তারা লিখেছে, “X অক্ষরটি নির্দেশ করে যে এটিই ট্রেনের শেষ কোচ। রেলের আধিকারিকরা নিশ্চিত হন যে ট্রেনটি কোনও কোচ না রেখেই সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে”। অর্থাৎ ট্রেনের যে এটিই শেষ কোচ সেটি এই ‘X’ চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হবেন স্টেশনে কর্মরত রেলকর্মীরা।
যদি কখনও দুর্ঘটনার কারনে বা অন্য কোনো কারণবশত ট্রেনে কামরা ছেড়ে যায় তাহলে রেলকর্মীরা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে। এটি শুধু রেলকর্মীদের জন্য নয়,সাধারণ মানুষেরও জানা উচিত এই বিষয়টি। রেলের পোস্ট করা ওই টুইটে এখনও অব্দি ২ লাখ ইম্প্রেশন পড়েছে। অনেকেই এই বিষয়টির জানতে পেরে রিটুইট করে রেলমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছে। টুইটারে সাথে সাথে ফেসবুকেও একই জিনিস পোস্ট করেছে রেলমন্ত্রক।