Mental Health Of Students : মানসিক অবসাদ রোধে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা মন্ত্রকের।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে প্রকাশ পায় অবসাদ,অবসাদ থেকে শুরু হয় মানসিক রোগের যা থেকে কখনও কখনও আত্মহত্যার পথ বেছে নেই মানুষ। বর্তমানে একদিকে যেমন বাড়ছে বেকারত্ব তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিযোগিতা,যার ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ভবিষ্যৎ চিন্তা,হতাশা,উৎকণ্ঠা যার ফল স্বরূপ অবনতি হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের।
দেশের সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হতাশা,অবসাদ,সামাজিক বৈষম্য কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র সরকার। দেশের প্রতিটি স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সর্বত্র শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।গত ২০মার্চ (সোমবার) কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক কতৃক ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিল দেশের স্কুল,উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে শুরু সিবিএসই(CBSE),ইউজিসি(UGC),এআইসিটিই (SITC) বা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ওই আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কার্যকরী ব্যবস্থা চালু করার কথা জানান। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে এমন ব্যবস্থা চালু করতে হবে যাতে করে পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ তারা উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষের নিকট জানাতে পারে।
(Foreign Universities In India : সুখবর! ভারতে খুলছে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা)
শিক্ষামন্ত্রী পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক চাপ কমানোর জন্য পড়াশোনার চাপ লাঘব করা,নিয়মিত কাউন্সেলিং,লিঙ্গ সমতা,বর্ণ সংবেদনশীলতার ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান। শিক্ষামন্ত্রী জানান পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার নির্দেশিকা গুলির বিস্তৃত পরিকাঠামো তৈরী করেছে শিক্ষা মন্ত্রক,যা স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র কার্যকর করা হবে। দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনরকম বৈষম্য তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষকে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে নির্দেশিকার মূল উদ্দেশ্য হল পড়ুয়াদের যে সকল বিষয়গুলিতে মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সামাজিক,শারীরিক,বৈষম্যমূলক,সাংস্কৃতিক,ভাষাগত বা অন্য যে কোন কারণ যা থেকে পড়ুয়ার মনে মানসিক সমস্যার উদ্রেক হতে পারে,সেই সকল বিষয় থেকে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। এছাড়া পড়ুয়াদের জানানো অভিযোগের দ্রুত ও কার্যকরী উপায় সমাধান ছাড়াও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পুষ্টিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে।