দ্বিতীয় শ্রেণী অবধি থাকবে না কোন পরীক্ষা,নয়া শিক্ষানীতি প্রকাশ করল কেন্দ্র সরকার।
বর্তমান যুগে দিন দিন সব ক্ষেত্রেই বেড়ে চলেছে প্রতিযোগিতা। শিক্ষাক্ষেত্রে যেন প্রতিযোগিতা আরও বেশি। জার যেরে বর্তমান বাজারে প্রায় অমিল চাকরি,পড়ুয়াদের মধ্যে বাসা বাঁধছে হতাশা,মানসিক অবসাদ,পারিপার্শ্বিক চাপ।
তবে শিশু বয়স থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে পড়াশোনার চাপ কমাতে নয়া শিক্ষা নীতি প্রণয়নের কথা চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্র সরকার। শোনা যাচ্ছে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই শিশুমনের উপর থেকে চাপ কমাতে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের কোন পরীক্ষায় বসতে হবে না,একেবারে তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার পালা।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (NCF) বা এনসিএফ এর খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। ওই খসড়ায় বলা হয়েছে শৈশবে শিশুদের উপর কোন ধরণের বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না। দ্বিতীয় শ্রেণী (Class 2) অবধি থাকবে না কোন সিলেবাস,থাকবে না কোন লিখিত পরীক্ষা। এনসিএফ জানিয়েছে বছর দুয়েক আগে থেকে বিভিন্ন স্তরে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল,সেই সকল সমীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তাদের এই সুপারিশ।
পরীক্ষা তুলে দেওয়া হলে দ্বিতীয় শ্রেণী অবধি শিশুদের মূল্যায়ন কোন পদ্ধতিতে হবে? সেই সম্পর্কে একটি স্পষ্ট রূপরেখা দিয়েছে এনসিএফ। এনসিএফ বলেছে ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে মূল্যায়নের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হচ্ছে শিশুকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং একটি শিশু তার স্বকীয় অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে শিখে কিভাবে আর্টিফ্যাক্টস তৈরি করছে তা সঠিক উপায়ে পর্যবেক্ষণ করে লিপিবদ্ধ করা। শিশুদের ফাউন্ডেশন স্টেজ অর্থাৎ প্রি-স্কুল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী অবধি লিখিত পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত,তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু করা উচিত লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া।
এই খসড়াটি তৈরি করেছেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান কে কস্তুরিঙ্গনের নেতৃত্বে থাকা প্যানেল। গত বছর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আভাস দিয়েছিলেন প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তনের কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র সরকার। এর আগে জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী (National Educational Policy) স্নাতক স্তরের তিন বছরের ডিগ্রী কোর্স বাড়িয়ে চার বছরের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।