4g Network In Moon : চলতি বছরে চাঁদে ইন্টারনেট ৪জি লঞ্চ করতে চলেছে নোকিয়া ? জানুন সেই খবর।
চাঁদ বা চন্দ্র নিয়ে মানুষে মধ্যে উৎকণ্ঠা বহুকাল ধরেই। এখনও অব্দি পৃথিবীর মানুষ চাঁদ নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত। অনেক দেশ চাঁদে রকেট পাঠিয়ে গবেষণা ও নতুন আবিষ্কারের চেষ্টাও করেছে। বিজ্ঞানীদের একটা বড়ো অংশ চাঁদে প্রাণ খুঁজে বের করার জন্য দিন রাত গবেষণা করে চলেছে। আবার অনেকেই চাঁদে জল ও বরফের অস্তিত্ব আছে বলে দাবি করেছেন। চাঁদের মাটিতে পা রাখার জন্য চন্দ্রযান এর ব্যবহার করে থাকেন বিজ্ঞানীরা।
এবার চাঁদের বিষয়ে গবেষণাকে আরও সহজ করতে এগিয়ে আসছে বিখ্যাত ফোন প্রস্তুকারকরা সংস্থা নোকিয়া (Nokia)। আমরা সকলেই নোকিয়াকে মূলত ফোনের জন্যই চিনি। এবার চাঁদে ৪জি (4G) ইন্টারনেট (4G Internet In Moon) লঞ্চ করতে চলেছে তারা। এই খবরের খোলাসা নিজেই করেছেন নোকিয়া কোম্পানির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার লুইস মায়েস্ট্রো রুইজ ডি টেমিনো। কিছু মাসে আগেই স্পেনের বার্সিলোনাতে ‘দ্যা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ট্রেড’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এই কথা জানা তিনি।
এই কাজে তারা ইলন মাস্কের স্পেস এক্স সংস্থাকে পাশে নিয়ে কাজ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই প্রজেক্টের কাজ অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে লঞ্চের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে।
স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে নোভা-সি লুনার ল্যান্ডারে ৪জি নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মজুত করা থাকবে। নোকিয়া জানিয়েছে এই প্রযুক্তিটি চাঁদের চরম পরিস্থিতেও স্থিতিশীল ভাবে কাজ করবে।
চাঁদের ৪জি ইন্টারনেট স্থায়ী ভাবে চালু হলে (4g Network Launch In Moon) মহাকাশচারীরা একে অপরের সাথে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে। চাঁদে লাইভ ভিডিও,অডিও,ছবি ও গুরুত্ত্বপূর্ণ ডেটা পৃথিবীতে পাঠানো সুবিধা হবে,এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যান্য যন্ত্রপাতি গুলিকে আরও ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণ ও কাজে লাগানো যাবে,চাঁদের উপরে বিজ্ঞানীদের রিসার্চ করতে আরও সুবিধা হবে।
(Jio New PostPaid plan : এক মাস ফ্রী পোস্টপেইড প্ল্যান নিয়ে হাজির জিও,জানুন বিস্তারিত)
চাঁদে বরফের উপস্থিত নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। যদিও চাঁদে বরফের উপস্থিতর বিষয়ে এখনও অব্দি কোনো শক্ত প্রমাণ নেই। তবে বিজ্ঞানীদের করা কিছু কিছু অনুমান ও রিসার্চ চাঁদে বরফের উপস্থিত প্রমাণ করে। যদি বরফের খোজ মিলে থাকে তাহলেও চাঁদে মানুষ বাসস্থান গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
কিছু দিন আগেই নোকিয়া প্রায় ৬০ বছরে পরে নিজেদের বহু পুরোনো লোগো পরিবর্তন করে সকলের নজরে চলে আসে। অনেকেই মনে করছেন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই না কি নোকিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নোকিয়া তাদের এই লোগো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে নতুন বার্তা দিতে চেয়েছে। তাদের দাবি এবার তারা নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করবে। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে হয়তো আমরা এই ৪জি লঞ্চ কেই ধরতে পারি।