Private Tuition : স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করল গৃহশিক্ষকরা।
আইন অনেকদিন থেকেই আছে অথচ সেই আইনকে দেখান বুড়ো আঙ্গুল,থোড়াই করেন কেয়ার। রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন টিউশন পড়ানো। কথা হচ্ছে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের টিউশন পড়ানো প্রসঙ্গে।
এমনিতেই রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বেকারত্ব। সেই বেকারত্ব ঘোচাতে কেন্দ্র সরকার কিংবা রাজ্য সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যস্ত। বর্তমান যুগে যেখানে প্রবল বেকারত্বের মধ্যে শিক্ষিত বেকার বেকার যুবক-যুবতীদের উপার্জনের অন্যতম ভরসা গৃহশিক্ষকতা বা প্রাইভেট টিউশনি (Private Tuition) পড়ানো,সেই গৃহশিক্ষকতার জায়গায় ভাগ বসাচ্ছে সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আইন থাকলেও বন্ধ করা যায়নি সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেআইনি গৃহশিক্ষকতা।
(গুগলকে চিঠি দিল সিবিআই,নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নকল মিলল নকল ওয়েবসাইটের খোঁজ)
এবার তা বন্ধ করতে এগিয়ে এল গৃহশিক্ষকদের সংগঠন। জানা যাচ্ছে যে সমস্ত সরকারি স্কুল শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি (Private Tutor)পড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল গৃহশিক্ষকরা। গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন রাজ্যের ৩২ জন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির নামে ওই গৃহশিক্ষকদের সংগঠনের দাবি তারা শিক্ষা দপ্তর,স্কুল পরিদর্শক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বারংবার জানিয়ে সমস্যার কোন সুরাহা না হওয়ায় আর কোন উপায়ন্তর না দেখে ৩২ জন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২৭ শে জুন স্কুল শিক্ষা দপ্তর কতৃক একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না,যুক্ত থাকতে পারবেন না কোন কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও,এমনকি বিনা পারিশ্রমিকেও কোন ছাত্রছাত্রীকে পড়ানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এই মর্মে সকল সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানানো হয় জুনিয়র হাই স্কুল,হাই স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা কোনভাবেই গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
কিন্তু নির্দেশিকা প্রকাশের পর একবছর অতিক্রান্ত হলেও কিছু কিছু সরকারি স্কুলের শিক্ষক নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়তে গৃহশিক্ষকতা করে যাচ্ছে বলে জানতে পারে গৃহ শিক্ষকদের সংগঠনটি। তারপর বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় কোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।