RBI Portal : ব্যাঙ্কে মজুত ৩৫ হাজার কোটি টাকা,সন্ধান জানাতে আসছে নয়া পোর্টাল।
ভবিষ্যতের জন্য অথবা প্রয়োজনে যাতে কাজে লাগানো যায় সেই উদ্দেশে অনেকেই ব্যাঙ্কে টাকা জমা রেখে থাকেন। তবে অনেক সময় সেই টাকার যে মালিক তার নাম ও নথি সমূহ ব্যাঙ্কের খাতায় নতিভুক্ত করতে ভুলে যায়। ফলে ভবিষ্যতে কোন ব্যাঙ্কে টাকা মজুত আছে সেটা বের করা মুশকিল হয়ে যায়।
ভারতবর্ষের ব্যাঙ্কগুলিতে এই ধরনের প্রচুর টাকা মজুত আছে। সরকারি তথ্য অনুসারে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এই টাকার দাবিদাররা এখনও অব্দি এই টাকার জন্য দাবি করেনি।
ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের টাকা যদি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কেই থেকে যায় এবং কোনো দাবিদার যদি না মেলে তাহলে সেই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার খাতে চলে যায়। তবে সরকারের প্রচেষ্টা থাকে যার টাকা তার হাতেই তুলে দেওয়ার।
(Textile Park : চালু হচ্ছে সাতটি বড় টেক্সটাইল পার্ক,দেশজুড়ে হবে ২০ লক্ষ কর্মসংস্থান)
তাই জমা টাকা যাতে সঠিক ব্যাক্তির হাতে পৌঁছে যায় সেই জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে একটি পোর্টাল চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই টাকার মালিককে খুঁজে বের করা যাবে। এই পোর্টালে একটি সার্চ ব্যবস্থা থাকবে যেখান থেকে সার্চ করে মানুষ জমা টাকার আসল মালিককে খুঁজে বের করতে পারবে এবং এই বিষয়ে তথ্য বের করতে পারবেন।
ভারতের যে সমস্ত ব্যাঙ্কে এই বিপুল পরিমাণে টাকা মজুত আছে তার মধ্যে প্রথম স্থানে আছে স্টেট ব্যাঙ্কে অফ ইন্ডিয়া। এই ব্যাঙ্কে মজুত থাকা টাকার পরিমাণ প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে আছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক যেখানে মজুত করা টাকা আছে ৫৫০০ কোটি টাকা মত। তৃতীয় স্থানে আছে কানারা ব্যাঙ্ক এখানে টাকা মজুত আছে ৪৫০০ কোটি টাকা মত আর চতুর্থ স্থানে আছে কর্ণাটক ব্যাঙ্ক যেখানে মজুত টাকা আছে ৩৯০০ কোটি টাকা।
এই সমস্ত বিপুল পরিমাণ টাকা গুলি যাতে দাবিদার ব্যক্তির হাতে যায় তার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই পোর্টাল চালু করার ব্যবস্থা করছে। এই পোর্টাল ব্যবহার করে মানুষ নিজের টাকা নিজের কাছেই ফিরে পাবে।