Mid Day Meal : পড়ুয়াদের ফলাতে হবে আনাজ,নয়া নির্দেশিকা শিক্ষা দপ্তরের।
রাজ্য জুড়ে মিড ডে মিল প্রকল্পে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এবার থেকে মিড ডে মিল প্রকল্পে খরচ বাঁচানোর জন্য নিজে হাতেই অর্গানিক ফার্মিং (Organic Farming) পদ্ধতিতে আনাজ ফলাবে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলে জারি করা হয়েছে ‘কিচেন গার্ডেন’ তৈরীর নির্দেশিকা। কিচেন গার্ডেন গুলোতে ফলানো হবে বিভিন্ন মরসুমি আনাজ যেমন সিম,টম্যাটো,ফুলকপি,বাঁধাকপি,বেগুন,ঢেঁড়স। ইতিমধ্যেই স্কুলে স্কুলে আনাজ ফলানোর জন্য অর্থ বরাদ্দও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
তবে রাজ্যের সকল স্কুলে স্কুলে আনাজ চাষের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক মহলে। কারণ রাজ্যের সকল স্কুলে আনাজ চাষের মত জায়গা নেই। বিশেষ করে বড় বড় শহরে অবস্থিত স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ‘কিচেন গার্ডেন’ তৈরীর জন্য উপযুক্ত জায়গার অভাব রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে কলকাতা শহরের কথায় ধরা যাক। কলকাতা শহরের মধ্যে অবস্থিত অনেক প্রাথমিক স্কুল চলে ভাড়া বাড়িতে,আবার অনেক স্কুলে আনাজ ফলানোর মত পরিসরের অভাব। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে অনেক স্কুলে টব বসিয়ে ফলানো হচ্ছে রকমারি আনাজ,কোন কোন জায়গায় ছাদে ফলানো হচ্ছে আনাজ। শিক্ষক মহলের তরফ থেকে প্রশ্ন যেসব স্কুলে আনাজ চাষ করা সম্ভব হবে না সেইসব স্কুলে মিড ডে মিলের মেনুতে থাকবে না নতুনত্ব,আবার বাজার থেকে আনাজ কিনতে গেলে বেড়ে যাবে মিড ডে মিলের খরচ,সেই সকল স্কুলে মিড ডে মিল কিভাবে চলবে ?
বর্তমানে রাজ্য সরকার প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রে মিড ডে মিল (Mid Day Meal West Bengal) খাতে পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ ৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ ৮ টাকা ১৫ পয়সা। তাছাড়া জানুয়ারি মাসে আগামী ১৬ সপ্তাহের জন্য পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ টাকা/প্রতি সপ্তাহ করেছে সরকার। যদিও এই অতিরিক্ত বরাদ্দের টাকায় পড়ুয়াদের খাওয়াতে হবে মাংস,ফল,ডিম যা চলতি বরাদ্দকৃত অর্থের টাকায় বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কার্যত অসম্ভব। বর্তমানে পড়ুয়া প্রতি সরকার যে টাকা বরাদ্দ করে তা থেকে নিয়মিতভাবে মাংস,ফল দেওয়া সম্ভব নয়। পড়ুয়া প্রতি মাথা পিছু বরাদ্দ স্থায়ীভাবে বাড়িয়ে ২০ টাকা করলে নিয়মিতভাবে সকল পড়ুয়া মাংস,ফল পাবে।
মিড ডে মিলের টাকা বরাদ্দ,দুর্নীতি নিয়ে চলছে বেশ কিছু বছর ধরে চলছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতর। রাজ্য মিড ডে মিল নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য ঘুরে গেছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। আবার শোনা যাচ্ছে ফের পাঠানো হতে পারে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। এরই মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের স্কুলে স্কুলে ‘কিচেন গার্ডেন’ তৈরির সিদ্বান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।