Spam Filter Technology : স্প্যাম কল প্রতিরোধে AI প্রযুক্তি ব্যবহার করছে TRAI ?
স্প্যাম কল ও মেসেজ বর্তমানে মোবাইল গ্রাহকদের জন্য একটি মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এই যন্ত্রণায় থেকে মুক্তি দিতে ভারতের ‘টেলিকম রেগুলারিটি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (TRAI) নতুন একটি আইন প্রণয়ন করতে চলেছে। এই আইনে ভারতের প্রত্যেক টেলিকম সংস্থা গুলিকে তাদের কল ও মেসেজ সার্ভিসের ক্ষেত্রে এআই স্প্যাম ফিল্টার টেকনোলজির (AI Spam Filter Technology) ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই স্প্যাম ফিল্টার টেকনোলজি স্প্যাম কল ও স্প্যাম মেসেজ গুলিকে শনাক্ত ও বন্ধ করতে সক্ষম হবে। টেলিকম সার্ভিসে ভারতের জনগণ যাতে প্রতারক ও জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা পায় তার জন্যই এই আইন চালু করেছে ট্রাই।
স্প্যাম কল ও ম্যাসেজের খপ্পরে পরে বহু মানুষ আর্থিক প্রতারণার স্বীকার হয়েছে। অজানা অচেনা নম্বর বা মেসেজ লিঙ্কে ক্লিক করে অনেকেই নিজের টাকা হারিয়েছেন। ভারতবর্ষে এমন শতশত ঘটনা সামনে এসেছে বিগত কিছু বছরে।
ইতিমধ্যেই ভারতের নামী টেলিকম সংস্থা যেমন এয়ারটেল,জিও,ভি,বিএসএনল এই এআই স্প্যাম ফিল্টার তাদের কল ও এসএমএস সার্ভিসে যোগ করবে বলে একমত পোষণ করেছে। যার মধ্যে জিও এবং এয়ারটেল কোম্পানি এই কাজ চালু করে দিয়েছে। অন্যদিকে ভোডাফোন আইডিয়া (ভি) এই স্প্যাম ফিল্টার চালু করার কাজ দ্রুত শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
(Used Car : পুরোনো গাড়ি কেনা বেচার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার)
এছাড়াও ট্রাই টেলিকম সংস্থা গুলিকে ১০ ডিজিট যুক্ত মোবাইল নম্বর গুলিতে প্ররোচনা মূলক কল পাঠাতে নিষেধ করেছে। কারণ এই ধরনের কল মূলত প্রতারকরা প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে থাকে মানুষকে ঠকানোর জন্য।
প্রতারনা আটকানোর জন্য ট্রাই টেলিকম সংস্থা গুলিকে আরও একটি নির্দেশ দিয়েছে যেখানে ‘কল আইডি’ নামে ফিচার যোগ করতে বলা হয়েছে। যখন কেউ এক ফোন থেকে অন্য ফোনে কল করবে তখন এই ফিচারটির সাহায্যে তার নাম ও ছবি মোবাইলের স্ক্রিনে দেখাবে। ফলে যে কল করছে তাকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
সূত্রের খবর অনুসারে কিছু টেলিকম সংস্থা তাদের প্রাইভেসির কারণে এই এআই ফিল্টার লাগানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করছে। যদিও খবরটি এখনও অব্দি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে ১ মে ২০২৩ থেকে এই নিয়ম চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ট্রাই।