Thika Property : বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের জমি জট কাটাতে নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের।

0
thika property

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশা উদ্বাস্তুদের জন্য জমি নির্ধারণ করে সরকার। সেই সব জমির মালিকানা নিয়ে প্রায় সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এবার সেই সকল সমস্যা দুর করতে সরকার সেই সমস্ত জমির মালিকের হাতে সরকারি দলিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে এর জন্য সরকারকে জমির দাম বকেয়া ক্রয় করার সময় সুদ সহ মিটিয়ে দিতে হবে।

১৯৪৮ সালে রাজ্য সরকার ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অ্যাক্ট চালু করে। এই আইন অনুসারে বাংলাদেশে থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য সরকার কলকাতা,উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮টি এলাকায় প্রায় ২১০ একর জমি নূন্যতম দামে শরণার্থীদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে এককালীন বা কিস্তিতে জমির মূল্য সরকারকে দিতে হবে। এই ৮টি এলাকা হলো, বৈষ্ণবঘাটা,পূর্ব পুটিয়ারি,পর্ণশ্রীপল্লি,রাজাপুর,ব্যারাকপুর,সোদপুর, গোপালনগর ও বেদিয়াপাড়া।

(Smart Card Driving Licence : এবার লাইসেন্স হবে প্লাস্টিকের;চালু হচ্ছে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স)

তবে বর্তমানে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে যেমন,জমির টাকা মিটিয়ে দিলেও অনেকে এখনও অবধি জমির মালিকানা পায়নি,অনেকেই জমির পুরো টাকা না মিটিয়ে অর্ধেক টাকা মিটিয়েছে,আবার অনেকেই এমন আছে যারা জমির টাকা পুরো না মিটিয়েই জমি অন্যজনকে বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ এই সমস্ত জমিতে অনেকেই ফ্ল্যাট ও বড়ো বড়ো বাড়ি নির্মাণ করে রেখেছে। কিন্তু সরকারকে কোনো ধরনের মূল্য দেয়নি।

এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত :

১) যে সমস্ত জমির মালিক সরকারকে জমির প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিয়েছে তাদেরকে সরকার সেই জমির মালিকানা দেবে।

২) যারা জমির অর্ধেক টাকা মিটিয়েছে তাদের পুরো টাকা মেটাতে হবে এবং জমির পুরোনো দামে উপরে ৬.২ হারে সুদ দিতে হবে।

৩) এই সমস্ত জমি গুলির উপরে আর নতুন করে বর্তমান জমির দাম হিসেবে ধরা হবে না। আর জবদখলকারিদের জন্যও একই নিয়ম লাগু করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *