UNESCO : মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ইউনেস্কো।

0
unesco wants to join education system of west bengal

রাজ্যের মুকুটে আরও একটি আন্তর্জাতিক পালক যুক্ত হতে চলেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখবে ইউনেস্কো (UNESCO)। জানা যাচ্ছে ইউনেস্কোর অধীনে থাকা সংস্থা “ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর লাইফ লং লার্নিং” মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইউনেস্কোর অধীনে থাকা সংস্থাটি সারা বিশ্বজুড়ে শিক্ষা প্রসারের কাজে যুক্ত থাকে। চিঠি পাওয়ার পর এই ব্যাপারে নবান্নের আধিকারিকরদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে এই সপ্তাহে অথবা আগামী সপ্তাহে সংস্থার কর্তাদের সাথে বৈঠকে বসতে পারেন নবান্নের আধিকারিকরা।

শিক্ষা ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের আরও উৎসাহ জোগানোর জন্য বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য সরকার। কন্যাশ্রী,মেধাশ্রী,স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি প্রকল্প ছাড়াও বিনামূল্যে সাইকেল,পোশাক-আশাক,বই-পত্তর,ট্যাব ইত্যাদি বিতরণ সরাসরি উপকৃত করছে রাজ্যের পড়ুয়াদের। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কিছুদিন আগে প্রকাশিত সারা দেশের বুনিয়াদি শিক্ষার উপর চালানো সমীক্ষায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে বাংলা। ইউনেস্কোর সংস্থাটি সরকার চালিত প্রকল্পগুলির পড়ুয়াদের জীবনে প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে গোটা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হতে চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থাটি মূলত প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদি স্তরে শিক্ষা ক্ষেত্র গুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।

(Primary Education In West Bengal : কেন্দ্র সরকারের রিপোর্টে সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম বাংলা)

বিগত কয়েকমাস ধরেই বেড়িয়ে আসছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা। দুর্নীতি প্রমান হওয়ায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়,গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের অধিকারিকদেরও। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হাজার হাজার চাকরি বাতিলের ঘটনায় স্তভিত রাজ্যবাসী। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ইউনেস্কোর সংস্থা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়তে চাওয়ার ঘটনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

গত বছর রাজ্যের দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো (UNESCO),এবার তারা বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *