WB Teacher Transfer : শিক্ষক বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করল শিক্ষা দপ্তর।

0
wb teacher transfer

রাজ্যের যে সকল বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কম সেই সকল বিদ্যালয়গুলি থেকে শিক্ষকদের গ্রামে বদলি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমে রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক বদলির নিয়ম (Teacher Transfer) চালু করবে রাজ্যশিক্ষা দপ্তর,পরবর্তীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বদলির নিয়ম চালু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদন করে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলি থেকে শহর,মফস্বলের স্কুলগুলিতে ট্রান্সফার বা বদলি নিয়েছিলেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকায়। শিক্ষা মহলের দাবি অনেক শিক্ষকই অসুস্থতা,ব্যক্তিগত কারণ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে যাতায়াতের সুবিধা,শহরের উন্নত জীবনযাপনের কারণে গ্রামের স্কুল ছেড়ে শহরের স্কুলগুলিতে নিজেদের ট্রান্সফার করে নিয়েছেন।

কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের স্কুল গুলিতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতের তারতম্য দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন। বিচারপতি বসু পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উদ্বৃত্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গ্রামের স্কুলগুলিতে ট্রান্সফার করার আদেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে রাজ্যশিক্ষা দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা যায় সারা রাজ্যের ৮ হাজার ২০৭ টি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৩০ এর নিচে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পড়ুয়া কমায় সহজেই অনুমেয় পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলেগুলিতে পড়ুয়া সংখ্যাও দ্রুত কমবে। বিচারপতি বসু রাজ্যের এত বেশী সংখ্যক স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা নগন্য হওয়ায় স্কুলগুলি চালু রাখার যৌতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যশিক্ষা দপ্তর স্কুল গুলি বন্ধ করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করার কথা বলেন।

(UNESCO : মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ইউনেস্কো)

স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) কতৃক দূর দুরান্তে শিক্ষক নিয়োগের ফলে তৎকালীন সময়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকায় সমস্যায় পড়েন। সেই সকল শিক্ষক শিক্ষিকার সুবিধার্থে ২০১২ সালে চালু করা হয় আপস বদলি বা মিউচুয়াল ট্রান্সফার (Mutual Transfer),তার পরবর্তীতে চালু হয় সাধারণ বদলি বা জেনারেল ট্রান্সফার (General Transfer)। এই দুই প্রকার বদলির ফলে ক্রমশ নষ্ট হতে থাকে ছাত্র শিক্ষক ভারসাম্য।

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কোন স্কুলে পড়ুয়া বেশি অথচ সেই অনুপাতে শিক্ষক নেই আবার কোন স্কুলে শিক্ষকের অনুপাতে পড়ুয়া সংখ্যা কম,আবার কোন স্কুলে দেখা যাচ্ছে শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ঠিক থাকলেও বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সংখ্যা কম। গ্রামের স্কুলে স্কুলে শিক্ষক বদলির বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পড়ুয়া-শিক্ষক ভারসাম্য বজায় রেখে পুনর্বিন্যাস বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে সকল শিক্ষক সদ্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বা অপেক্ষাকৃত নতুন তাদেরকে বদলির তালিকায় প্রথমে রাখা হয়েছে। যারা আগামী দুই বছরের মধ্যে অবসর নেবেন বা যাদের ছোট সন্তান আছে তাদের নাম বদলির তালিকায় শেষে রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যাচ্ছে শিক্ষকদের বর্তমান কর্মরত জেলারই অন্য কোন স্কুলে বদলির আদেশ দেওয়া হবে,সে ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় বদলির সময়ে ওই জেলায় কোন শূন্যপদ নেই তবে পার্শবর্তী জেলায় বদলি করা হবে। শিক্ষক বদলের ক্ষেত্রে কোনও রকম ওজর আপত্তি শোনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *