তোলা তুলতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানে গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার,নির্দেশিকা জারি পুলিশের।

0
civic volunteer

নতুন নির্দেশিকা বলবৎ করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কার্যক্ষেত্র পরিধি বেঁধে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে তোলাবাজির দায়ে পূর্ব বর্ধমানে গ্রেপ্তার করা হল দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer)। পূর্ব বর্ধমান (Purba Burdwan) জেলার মেমারিতে বালি বোঝাই লড়ি আটকে তোলা আদায়ের চেষ্টা করেন কর্তব্যরত দুই সিভিক ভলান্টিয়ার রাজকুমার মান্না ও শেখ আশিকুল রহমান। গাড়ির চালক তোলা দিতে অস্বীকার করলে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ট্রাক চালককে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। ট্রাক চালক বিপ্লব বিশ্বাস মেমারি থানায় দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন,যার ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি ঘটে মেমারি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চকদিঘি মোড়ে।

(Civic Volunteer : সরাসরি হওয়া যাবে কনস্টেবল,তবে মেনে চলতে হবে তিনটি শর্ত;কবে থেকে শুরু ? কি কি শর্ত ?)

জেনে নিন সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য জারি করা নির্দেশিকাগুলি :

এর আগে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য জারি করা হয় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী

  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তার দায়িত্বে থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ারা।
  • আইন শৃঙ্খলাজনিত কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে করানো যাবে না।
  • বিভিন্ন উৎসবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্য করবে তারা।
  • বেআইনি পার্কিং রুখতে পুলিশকে সাহায্য করবে।
  • জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্য করবে।

কিছুদিন আগে বাঁকুড়া পুলিশের তরফ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় শুরু হয় বিতর্ক। নির্দেশিকায় বলা হয় এবার থেকে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অঙ্ক ও ইংরেজির পাঠ দেবেন ‘শিক্ষিত’ সিভিক ভলান্টিয়াররা,যা নিয়ে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান এই রকম কোন নির্দেশিকায় রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে অনুমোদন দেয়নি,বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসক মিলে বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় চালু করেছে। বিতর্কের মুখে পড়ে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পে কিছুটা রদবদল করে জানায় প্রাথমিক স্কুলে নয়,প্রাথমিকের পড়ুয়াদের অঙ্ক ইংরেজির পাঠ দেওয়া হবে গ্রামের মধ্যে,যদিও বর্তমানে প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। তার আগে সিভিক ভলান্টিয়াদের কাজের ভিত্তিতে সরাসরি কনস্টেবল পদে স্থায়ী প্রমোশন দেওয়া হবে ইঙ্গিত দেয় রাজ্য সরকার। এছাড়া প্রায় শোনা যায় সিভিক ভলান্টিয়াদের ‘দাদাগিরির’ ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে নিজেদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা হাতে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। মনে করা হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে রাজ্য পুলিশের বাড়াবাড়িতে রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি করার আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

বর্তমানে রাজ্য মোট সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন। প্রথম দিকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ রাখা হলেও পরে তা কমিয়ে অষ্টম শ্রেণী করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *