দেশের মোট রপ্তানি থেকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, দাবি করলো রাজ্য সরকার।
একটা রাষ্ট্রের আর্থিক উন্নতি ও অবনতির ক্ষেত্রে রপ্তানি ব্যবস্থার কমা বাড়া অনেকটাই নির্ভর করে বলা চলে। বেশি বেশি রপ্তানি হলে বিদেশি মুদ্রা আসবে,বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়বে, সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে,কর্মসংস্থান বাড়বে।
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্য বর্তমানে গোটা ভারতের মধ্যে রপ্তানির দিক দিয়ে অন্যতম স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। এবার রপ্তানির নিয়ে একটি দারুন খবর দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারা দাবি করেছে রপ্তানির দিক দিয়ে দেশের মোট রপ্তানির পরিমাণকে ছড়িয়ে গেছে রাজ্য। এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে দেশে এমন ৮ টি রাজ্য আছে যারা দেশের মোট রপ্তানির থেকেও বেশি পরিমাণে রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নাম অন্যতম।
কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুসারে দেশে মোট রপ্তানির পরিমাণ ৩৪% শতাংশ।অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা দাবি করেছেন ২০২১-২২ সালে রাজ্যের মোট রপ্তানির পরিমাণ ৫০-৫৫ শতাংশ অব্দি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের করোনা অতিমারীর সময় যখন বিশ্বের অবস্থা শোচনীয় ছিল,ঠিক তখনই রাজ্য থেকে বিপুল পরিমাণে রপ্তানি হয়েছে। আর এই রপ্তানি কে কাজে লাগিয়েছে বাংলার ব্যবসায়ীরা প্রচুর লাভ করেছে,বেড়েছে কর্মসংস্থান।
(আরও পড়ুন : ১ এপ্রিল থেকে বাতিল হচ্ছে এই গাড়ি গুলি; জেনে নিন সরকারের নতুন নিয়ম)
কিছু দিন আগেই বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপোতে যোগ দেন রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা,সেখানে তিনি বলেন – ‘২০২১-২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ১৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অঙ্কের রফতানি করা হয়েছে। এটি আগের বছরের তুলনায় ৫৫% বেশি। বিশ্ব জুড়ে একটি মন্দা ও অস্থিরতার পরিবেশ রয়েছে। আমার দফতর এবং রাজ্য সরকার রফতানিকারিদের যতটা সম্ভব সহায়তা করছে।’
অন্যদিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ববি) তিনিও একটি সভাই যোগ দিয়ে এই বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়ে বলেছেন – ‘গত ১১ বছরে একদিনও ধর্মঘট করে সময় নষ্ট করা হয়নি। গত ৬ বছরে পশ্চিমবঙ্গে জিডিপি বছরে গড়ে ১২% করে বেড়েছে। শিল্প তালুকের সংখ্যা ২০১১ সালে ৪৯টি ছিল। আর এই বছর সেটা বেড়ে ৫৫৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে রাজ্যের একনাগাড়ে বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।’