সারা ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করলো বাংলা,পড়ুন বিস্তারিত।
সারা ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নজির গড়লো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র বিদ্যুৎ মন্ত্রক প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ২০২২-২০২৩ সালে দেশের সেরা ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তালিকা প্রকাশ করেছে আর সেই তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। শুধু তাই নয় দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানেও আছে পশ্চিমবঙ্গেরই আরও দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দ্বিতীয় স্থানে আছে সাঁওতালডিহি এবং পঞ্চম স্থানে আছে সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
গোটা দেশে ২৬৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আছে তার মধ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গের এই কৃতিত্বের ফলে রীতিমত খুশি বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসার ও কর্মীরা। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’ (WBSEDCL) গত দুই বছরে ৩১.৮৫ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে,যা প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
(মিলবে বিমানবন্দরের মতো পরিষেবা,আসানসোল স্টেশনে ৫০০ কোটির বাজেট ঘোষণা রেলের)
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইট বার্তায় সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং লিখেছেন রাজ্যবাসীর জন্য এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রক,অফিসার ও সকল কর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিভাবকত্বে ডব্লিউবিএসইডিসিএল পরিবারের সকল কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য আমরা অর্জন করতে পেরেছি আজ।”
গর্বের হবে নাই বা কেন,এই লিস্টে টাটা,আদানি সহ বেসরকারি বড়ো বড়ো বিদ্যুৎ সংস্থাও ছিল। তাদেরকে টপকে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দ্বারা প্রথম স্থান গ্রহণ করা সত্যিই রাজ্যের জন্য গর্বের বিষয়। মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ,বিদ্যুৎ সরবরাহ,কর্মীদের দক্ষতা,পরিচালনা ব্যবস্থা ইত্যাদির উপর বিচার-বিবেচনা করে এই তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্র সরকার।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতিতে কোনো খামতি রাখেনি রাজ্য সরকার। বিগত কিছু সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও নানা উন্নতি মূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যেমন,নতুন শক্তিশালী বৈদ্যুতিক তার বিছানো,উন্নতি টেকনোলজির ব্যবহার,বিদ্যুৎ অফিসে দক্ষ কর্মী নিয়োগ,রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছানো,বিপর্যস্ত সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ,পাহাড়ি অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছানো,পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ ইত্যাদি।