১৫০ বছরে পা দিলো কলকাতার ট্রাম;আর কত দিন শহরে চলবে ট্রাম ? জানিয়ে দিলেন পরিবহন মন্ত্রী।
এই শুক্রবার ছিলো ট্রামের ১৫০ বছর পূর্তি। আর সেই উপলক্ষে এই দিন ধর্মতলায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। এই দিন পরিবহন মন্ত্রী কেক কাটার মধ্যে দিয়ে ট্রামে চেপে এই দিনটিকে উদযাপন করেন।
কলকাতায় ট্রামের চাকা প্রথম গড়াই ১৮৭৩ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি। শিয়ালদা থেকে আর্মেনিয়া ঘাট অব্দি প্রথম ট্রাম পরিষেবা চালু হয়। সেই দিন থেকে নানা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও শহরে চালু আছে ট্রাম ব্যবস্থা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কমছে ট্রামের সংখ্যা।
আগে কলকাতার জনসংখ্যা ছিলো কম। সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও ছিলো কম।কিন্তু বর্তমান চিত্র অন্যরকম। এখন মানুষের সাথে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে প্রচুর। যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস,ট্যাক্সি,মেট্রো। এছড়াও অনেকেই নিজস্ব দুই চাকা,চার চাকাই যাতায়াত করেন। এই সবের মাঝে ট্রাম যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। মানুষ আর আগের মতো ট্রামের চাপতেও চাইনা। শহরের ট্রামের সংখ্যা দিন দিন কমে আসায় সাধারণ মানুষ সহ ট্রাম অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে পুনরায় ট্রাম চালু করার দাবি জানায়। এই দিন অনেকেরই প্রশ্ন ছিলো যে তাহলে কি ট্রাম পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ?
(আরও পড়ুন : কলকাতায় নতুন করে ছুটবে ট্রাম,আশ্বাস দিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী)
এই নিয়ে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমে কে বলেন -“ট্রাম অবশ্যই পরিবেশ বান্ধব একটি গাড়ি। কলকাতায় মোট যতো জমি আছে তার মাত্র ৬ শতাংশ রাস্তা জন্য বরাদ্দ। সেই কারণে বেশ কিছু রুটে কিন্তু ট্রাম সত্যিই আর চালানো সম্ভব না। আর যে রুট গুলো চালানোর উপযুক্ত হবে আমরা সেই রুটে নিশ্চয় চলবো। ট্রাম তুলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই কারণ ট্রামের প্রতি আবেগ ভালোবাসা আমাদের সবারই আছে। কলকাতার ঐতিহ্য হিসেবে ট্রাম থাকবে।”
তিনি আরও বলেন –
“বর্তমানে কলকাতার যা অবস্থা আর যেভাবে জনসংখ্যা বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু রাস্তা চওড়া হয়নি। ফলে অনেক গুলো রুটে আমরা ট্রাম চলতে পারবো না কারণ মেট্রো রেল তৈরি হয়েছে। অনেক ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। সেই সব কারণে অনেক গুলো রুট কে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমরা কলকাতা কর্পোরেশন এবং কলকাতা পুলিশের সাথে কথা বলে যে যে রুট গুলোতে ট্রাম চালানো সম্ভব অথচ যানজট হবে না আমরা সেই রুট গুলোতে ট্রাম চালাবো।”
মন্ত্রীর এই আশ্বাসে খুশি অনেকেই। ভবিষ্যতে যাতে ট্রাম ও ট্রাম পরিষেবা কে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আশাবাদী সাধারণ মানুষ সহ ট্রাম অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা